জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল ।
Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -১৯)

বাবাজীর আশীর্বাদ ম্যাজিকের মত ফলে গেল

জগদীশ বাবু তার পরিবারবর্গসহ বোরহানউদ্দিন থানা সদরে বাসা ভাড়া করে থাকতো । একদিন বাবাজী ঐ ভাড়া বাসায় আসেন । তিনি লক্ষ্য করলেন বাসায় ঠাকুরের দৈনন্দিন পূজা অর্চনার কোন আসন নেই । জগদীশ বাবু বললো ভাড়া বাসা, তাছাড়া নানান ধরলের মানুষ এখানে আসে ।তৎক্ষণাৎ বাবাজী বললো প্রভুর ইচ্ছায় এখানে বাড়ী হয়ে যাবে । বাবাজী সেদিনই চলে গেলো । অবাক করা কান্ড যে তারপর দিনই জগদীশ বাবুর বর্তমান যে বাড়ী সে জায়গার মালিক ভারত থেকে এসে তার জায়গা বিক্রি করার কথা জগদীশ বাবুকে জানান । কি অপার মহিমা, কয়েক দিনের মধ্যেই উক্ত জায়গায় জগদীশ বাবুর নিজস্ব বাড়ী হলো । বাবাজী শেষ দিন পর্যন্ত নিয়মিত ভাবেই বোরাহানউদ্দিন আসিলে উক্ত বাসাতে অবস্থান করতেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিও করতেন ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -১৮)

বাবাজীর আর্শিবাদে মৃত্যু পথযাত্রীর সুস্থাতা লাভ

অনিল বৈদ্য নামে জনৈক ব্যাক্তি ভীষণ অসুস্থ । ভোলায় বিভিন্ন ডাক্তারের চিকিৎসায় ভাল না হয়ে বরিশাল যান চিকিৎসার জন্য ।রোগে শোকে তিনি শুকিয়ে যান ,শরীর রক্ত শূন্য , পায়খানা প্রসাবেও নানান সমস্যা । মরন ব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে ডাক্তারের অভিমত । বরিশালের অভিঙ্গ ডাক্তারের চিকিৎসায় ব্যর্থ হয়ে ভোলাতে আসে ।রোগী আর কয়েক মাস বাচবে বলে ডাক্তার তার আত্মীয়-স্বজনকে জানায় । অবশেষে উক্ত রোগী একদিন বাবাজীর কাছে এসে কান্নাকাটি করেন সুস্থ হবার জন্য । ভক্তের কান্নায় বাবাজী তাকে সুস্থ হবার আশ্বাস দিয়ে আর্শীবাদ করেন, বলেন নিয়মিত ভোরে প্রতিদিন স্বরুপ আশ্রমে এসে কীর্ত্তন করতে এবং প্রসাদ গ্রহন করতে । অনিল বাবু বাবাজীর নির্দেশ পালন করেন এবং সুস্থ হয়ে সবার সাথে স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -১৭)

বাবাজীর বিছানায় সাপ

একদিন বাবাজী শয্যাবস্থায় বিছানায় অনুভব করলেন তার পাশে শীতলতা । শয্যাগৃহের পাশে নিচে জনৈক ভক্ত শুয়েছিলেন ,অমনি দেখা গেলো বিরাট এক বিষাক্ত সাপ বিছানা থেকে নিচে নেমে চলে গেল ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -১৬)

বাবাজীর নির্দেশ মেনে অসুস্থ রোগীর সুস্থাতা লাভ

মির্জাকালু থানার ভূপতি সাহা বাবুর পিতা অসুস্থ ।বাংলাদেশে নানান চিকিৎসায় সুস্থ না হয়ে কোলকাতা যান চিকিৎসার জন্য ।কোলকাতার বড় বড় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করেও রোগের হাত থেকে রেহাই পান নি । বিফল হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন অসুস্থাবস্থায় । দিন দিনই তার শরীরের অবস্থা ক্রমাবনতি হতে থাকে ।লোক মুখে শুনতে পান শম্ভুপুরের বাবাজী সাক্ষাৎ মহাপুরুষ , তার আর্শীবাদে যে কোন রোগী সুস্থতা লাভ করে । অতঃপর তিনি শম্ভুপুর যান এবং বাবাজীর পায়ে পরে কান্নাকাটি করেন ।ভক্ত বৎসল বাবাজী তাকে আর্শীবাদ করেন এবং নির্দেশ দেন আপনি প্রতিদিন মালা জপ ও গীতা পাঠ শুরু করেন ।এভাবে অল্পদিনেই সুস্থ হন এবং পরবর্তী জীবন বাবাজীর নির্দেশ পালন করে সুস্থ অবস্থায় কাটান ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -১৫)

উত্তপ্ত গরম তেলে হাত পুড়ে যাবার ঘটনা

বাবাজী ভক্ত সহ রামগতি পরম ভক্ত কামাখ্যা সাহার বাড়ী অবস্থান করছেন ।বাবাজী রান্না সহকারী হরিপদ ঠাকুর ঐ বাসাতে সদ্য লুচি ভাজার পর উত্তপ্ত ১০নং সাইজের বড় কড়াইয়ের গরম তেলকে জল ভেবে ভুলে হাত চুবায় । হাত পোড়ার জ্বালায় হরিপদ ঠাকুর মাগো মাগো বলে জোরে চিৎকার দেন। বাবাজী গ্রন্থ পাঠরত ছিলেন । তিনি তৎক্ষনাৎ হরিপদ ঠাকুরের কাছে যেয়ে হাতে ফু দিয়ে বলল, প্রভুর কৃপায় ঠিক হয়ে যাবে । সাথে সাথে ম্যাজিকের মত ভক্তের হতের জ্বালা কমে গেলো । নরম চামড়ায় ফোস্কও পড়লোনা এবং কোন প্রকার দাগও লাগল না ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -১৪)

বৈষ্ণব অপরাধ অখন্ডনীয় হরিপদ ঠাকুরের মৃত্যু

১৯৮৯ সনে বাবাজী ভারতের পূরীধামে জগন্নাথ দেবের মন্দিরে তীর্থ দর্শনে গেলেন । এক পান্ডা এসে বাবাজীকে প্রনাম দিয়ে বললো জীবনে অনেক ভক্তকে পুরীদর্শনে সহায়তা করেছি অনেক কাজ করেছি অামার ইচ্ছা আপনি আর্শীবাদ করে অনুমতি দেন তাহলে অাপনাদের ঘুরায়ে পুরীধাম দেখাই । পুরী দর্শনের এক পর্যায়ে বাবাজীর রান্না সহকারী পরম ভক্ত হরিপদ ঠাকুরের সাথে উক্ত পান্ডার কথা কাটাকাটি হয় । বাদানুবাদের এক পর্যায়ে তিনি ক্রোধান্বিত হয়ে পান্ডাকে থাপ্পর দেন ।পান্ডা কিংকতব্যবিমুঢ় হয়ে অভিশাপ দেন ,যে হাত দিয়ে অামাকে মারলে সে হাত নিয়ে আর বাংলাদেশে যেতে পারবে না ।জগন্নাথ দেবর দোহাই দিয়ে বললেন । বাবাজী ঘটনাটি শোনার পর খুবই ব্যাথিত হলেন এবং আফসোস করে বললেন, ঠাকুরভাই ! আপনি কী করলেন, বৈষ্ণব অপরাধ এযে অখন্ডনীয় । পরবতীতে পান্ডাকে অনুনয় করে ঠান্ডা করা হল ।তিনি নরম হয়ে বললো মুখ থেকে বের হয়ে গেছে জানিনা এর পরিনাম কি হবে ।

পূরি দর্শন শেষে বাবাজী সহ সকলে চন্ডীপুর আশ্রমে এলেন । হরিপদ ঠাকুর আশ্রমে একদিন গুনা দিয়ে কুল বানতে ছিলো । এমন সময় আঙ্গুলে সামান্য খোচা লেগে আঙ্গুল ফুলে গেলো । ক্রমান্নয়েই আঙ্গুল ফুলতে লাগলো এবং তীব্র ব্যাথা অনুভব করলো । বাবাজী নিজে তাকে কোলকাতার বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল এবং ডাক্তারকে আশ্বাস দিলেন যত টাকালাগে চেষ্ঠা করেন ডাক্তার নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বললো রোগীর সমস্থ শরীরে পচন লেগে গেছে । পৃথিবীর কোথাও নিলেও এ রোগীকে ভাল করতে পারবে না ।ভারতের চন্ডীপুরেই বাবাজীর রান্না সহকারী হরিপদ ঠাকুর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন । বৈষ্ণব অপরাধ ও অভিশাপে তার আর বাংলাদেশে ফেরা হল না ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -১৩)

ভক্তদের মাছ খাওয়ার ইচ্ছে পূর্ন হলো না

১৯৭৪ সনে বাবাজী ভক্ত সাথীদের নিয়ে রামগতি যাবার পথে তার এক ভক্ত শ্যামকুন্ড বাবুর বাসায় যান । শ্যামকুন্ড বাবুর তিন ছেলে তাই তার একান্ত ইচ্ছা একটি কন্যা সন্তানের । তিনি বাবাজীর কাছে ভক্তি ভরে মনের ইচ্ছা ব্যাক্ত করেন । বাবাজী ভক্তের আকুলতা দেখে অবশেষে প্রভূর নামে আশীর্বাদ করেন । সেদিন ছিল পূর্নিমা ঠিক বছরাধিক পরে এক পূর্নিমার দিনে শ্যাম কুন্ডের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তানের । কন্যার নাম রাখা হয় পূর্ণিমা ।

যেদিন বাবাজী আশির্বাদ করেন সেদিন কতিপয় ভক্তের ইচ্ছে হলো মাছ খাওয়ার । ভক্তরা বাবাজীর অজান্তে অন্য বাড়ীতে বড় বড় ইলিশ মাছ রান্না করে খাবারের আয়োজন করল।অত্যান্ত যত্নের সাথে নানান মশলাপাতি দিয়ে রান্না করা হল মাছ। খেতে গিয়ে অবাক হয়ে গেল সকলে। মাছ মুখে দিয়ে থু থু করে ফেলে দিল ,স্বাদ ভীষন তেতো যা নিমের তিক্ততাকেও হার মানায় । ভক্তরা বুঝতে পারল যে এতো আর কিছু নয় বাবাজীর নীলা । পরে তারা বাবাজীর কাছে অপরাধ মার্জনার জন্য অনুরোধ করলো । বাবাজী হাসলেন আর বললেন ধর্ম কাজে এসে ধর্মীয় ভাব ও পবিত্রতা বজায় রাখতে হয় :।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -১২)

বাবাজীর ঢাকা বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন

১৯৭৭ সনে বাবাজী ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সববৃহৎ আশ্রম বৌদ্ধ বিহারে যান । সেখানে তিনি বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত মোট ৩ ঘন্টা সময় অতিবাহিত করেন । উল্লেখ্য যে ,বাবাজী হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খৃষ্টান সহ সকল সম্প্রদায়ের প্রতি এবং সকলের ধর্মস্থানের প্রতি সমান শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতেন এবং ভক্তদেরও এভাবে দেখার কথা বলতেন ।পাক-ভারতে অবস্থিত তিনি বিভিণ্ণ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন তীর্থস্থান সঙ্গী সাথীদের নিয়ে দর্শনের অনেক ঘটনা জানা যায় । বৌদ্ধ মন্দিরে অবস্থানকালে দলে দলে ভিক্ষুগন এসে বাবাজীকে প্রনাম করলো ।দেখা গেল একজন ভিক্ষুর প্রণাম বাবাজী কোনক্রমেই নিলেন না কেন নিলেন না তা অজ্ঞাত রাখলেন । উক্ত সময়ে তিনি মহাত্মা বুদ্ধের অহিংসা পরম ধর্ম সহ বিভিন্ন ধর্ম বিষয়ে নানান আলাপ-আলোচনা করলেন । ভিক্ষুগণ শ্রদ্ধা ভরে তার বক্তব্য শুনলেন ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -১১)

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোট ভুল প্রমানিত হলো

অরবিন্দু বাবুর স্ত্রী অসুস্থা । নিয়মিত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেকআপে আছে ।সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে ৩ মাস ও ৭ মাসের দু‘বার আল্ট্রাসনোগ্রামে পরীক্ষা করা হয় ।উভয় বারই ডাক্তার নিশ্চিত করে বলেছেন যে, তার কণ্যা সন্তান জন্ম নিবে ।এদিকে বাবাজী একদিন বলেন অরবিন্দুর পুত্র সন্তান হবে এবং এ ছেলে স্বরুপ মজুমদারের বংশ উজ্জল করবে । কোনটি বিশ্বাস করবে একদিকে অভিজ্ঞ ডাক্তারের অত্যাধুনিক যন্ত্রের নিশ্চিত রিপোট আবার অন্যদিকে বাবাজীর ভিন্ন মত । কী করা যায়- প্রভুর নামে ভরসা করে ওনারা শুভ দিনের অপেক্ষা করছেন । অবশেষে দেখা গেলো আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোট মিথ্যা প্রমাণিত করে বাবাজীর ইচ্ছাই পূণ হলো তাদের ঘর আলোকিত করে জন্ম নিল ফুটফূটে এক সুস্থ সবল পুত্র সন্তান । বাবাজী প্রদীপ বাবুর কাছে পুত্র হবার সংবাদ শুনে খুবই খুশী হলো যা লিখে প্রকাশ করা যাবে না ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল