বৈষ্ণব অপরাধ অখন্ডনীয় হরিপদ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৮৯ সনে বাবাজী ভারতের পূরীধামে জগন্নাথ দেবের মন্দিরে তীর্থ দর্শনে গেলেন । এক পান্ডা এসে বাবাজীকে প্রনাম দিয়ে বললো জীবনে অনেক ভক্তকে পুরীদর্শনে সহায়তা করেছি অনেক কাজ করেছি অামার ইচ্ছা আপনি আর্শীবাদ করে অনুমতি দেন তাহলে অাপনাদের ঘুরায়ে পুরীধাম দেখাই । পুরী দর্শনের এক পর্যায়ে বাবাজীর রান্না সহকারী পরম ভক্ত হরিপদ ঠাকুরের সাথে উক্ত পান্ডার কথা কাটাকাটি হয় । বাদানুবাদের এক পর্যায়ে তিনি ক্রোধান্বিত হয়ে পান্ডাকে থাপ্পর দেন ।পান্ডা কিংকতব্যবিমুঢ় হয়ে অভিশাপ দেন ,যে হাত দিয়ে অামাকে মারলে সে হাত নিয়ে আর বাংলাদেশে যেতে পারবে না ।জগন্নাথ দেবর দোহাই দিয়ে বললেন । বাবাজী ঘটনাটি শোনার পর খুবই ব্যাথিত হলেন এবং আফসোস করে বললেন, ঠাকুরভাই ! আপনি কী করলেন, বৈষ্ণব অপরাধ এযে অখন্ডনীয় । পরবতীতে পান্ডাকে অনুনয় করে ঠান্ডা করা হল ।তিনি নরম হয়ে বললো মুখ থেকে বের হয়ে গেছে জানিনা এর পরিনাম কি হবে ।
পূরি দর্শন শেষে বাবাজী সহ সকলে চন্ডীপুর আশ্রমে এলেন । হরিপদ ঠাকুর আশ্রমে একদিন গুনা দিয়ে কুল বানতে ছিলো । এমন সময় আঙ্গুলে সামান্য খোচা লেগে আঙ্গুল ফুলে গেলো । ক্রমান্নয়েই আঙ্গুল ফুলতে লাগলো এবং তীব্র ব্যাথা অনুভব করলো । বাবাজী নিজে তাকে কোলকাতার বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল এবং ডাক্তারকে আশ্বাস দিলেন যত টাকালাগে চেষ্ঠা করেন ডাক্তার নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বললো রোগীর সমস্থ শরীরে পচন লেগে গেছে । পৃথিবীর কোথাও নিলেও এ রোগীকে ভাল করতে পারবে না ।ভারতের চন্ডীপুরেই বাবাজীর রান্না সহকারী হরিপদ ঠাকুর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন । বৈষ্ণব অপরাধ ও অভিশাপে তার আর বাংলাদেশে ফেরা হল না ।
জয় নিতাই গৌর হরি বল